দোয়া মাসুরা কয়টি ও কি কি?
সেই হিসাবে হাদীসে বর্ণিত সকল দোয়াই মাসুরা; কেবলমাত্র একটি দোয়া নয়। তবে নিম্নের দোয়াটি এদেশে ‘দোয়া মাসুরা’ হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী যালামতু নাক্সী যুলমান কাছীরাও অলা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা, ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম।
দোয়া মাসুরা না পারলে কি পড়তে হবে?
ফলে অনেকেই মনে করেন দোয়া মাসুরা বলতে শুধু এটিই। এটি ছাড়া অন্য কোনো দোয়া পড়লে হবে না। আসলে বিষয়টি এমন নয়; বরং এক্ষেত্রে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত যেকোনো দোয়া-ই পড়া যায়। এতে সুন্নত আদায় হয়ে যায়।
আত্তাহিয়্যাতু কখন পড়তে হয়?
উত্তর: নামাজি ব্যক্তি নামাজের মধ্যে যখন মৌখিকভাবে তাওহিদের সাক্ষ্য দেয়, তখন তার আঙুলও এই সাক্ষ্য দেবে। এ জন্য আত্তাহিয়াতু পড়তে পড়তে যখন ‘আশহাদু আল্লা… ইলাহা’ পর্যন্ত পৌঁছবে, তখন বৃদ্ধাঙ্গুলি ও মধ্যমা দ্বারা গোল ভিত্ত বানাবে এবং শাহাদত আঙুল দ্বারা ইশারা করবে।
দোয়া মাসুরা শব্দের অর্থ কি?
নামাজে দোয়া মাসুরা পড়া কি জরুরী? এর ছবির ফলাফল
দোয়া মাসূরা
বাংলা অর্থঃ-হে আল্লাহ্! আমি আমার নিজ আত্মার উপর বড়ই অত্যাচার করেছি, গুনাহ মাফকারী একমাত্র আপনিই; অতএব আপনি আপনা হতেই আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি দয়া করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল দয়ালু।
নামাযের শেষ বৈঠকে কি কি পড়তে হয়?
প্রত্যেক বৈঠকে তাশাহহুদ পড়তে হয়। দ্বিতীয় বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার সময় শাহাদাত আঙুল ক্বিবলার দিকে তোলা হয় যা মক্কার দিক নির্দেশ করে, তবে এই কাজটি ঐচ্ছিক। শেষ রাকাতে বসা অবস্থায় প্রথমে ডান দিকে এবং তারপর বাম দিকে তাসলিম বা আস্-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহ্ বলার মাধ্যমে নামাজ শেষ করা হয়।
নামাজে দুরূদের পরের দোয়া কি
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যখন তোমাদের কেউ তাশাহহুদ পাঠ করে [একটি বর্ণনা অনুসারে: যখন তোমাদের কেউ শেষ তাশুহুদ শেষ করে] তখন সে যেন আশ্রয় প্রার্থনা করে। চারটি জিনিস থেকে আল্লাহর সাথে, সে যেন বলে: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউদু বিকা মিন আযহাবি…
বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পড়লে নামাজ হবে কি?
বিতর নামাজে দোয়া কুনুতের পরিবর্তে তিনবার সুরা ইখলাস পড়া গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, সুরা ইখলাস— কুনুত বা দোয়া সম্বলিত সুরা নয়। কুনুতের উদ্দেশ্য হচ্ছে- আল্লাহর কাছে দোয়া করা। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দোয়া ব্যতীত অন্য যেকোনো দোয়া পড়লেও ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে এবং নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
মুসলমানরা দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে কেন
প্রাথমিকভাবে, 50টি দৈনিক নামাজের আদেশ দেওয়া হয়েছিল, যা পরবর্তীতে পবিত্র প্রেরিত নবী মুসার পরামর্শে পাঁচটিতে নামিয়ে আনা হয়েছিল। তাই, মুসলমানরা দিনে পাঁচবার নামাজ পড়েন আল্লাহর হুকুমে তাঁর পবিত্র রসূলের মাধ্যমে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য ।
নামাজ কিভাবে শিখব
আল্লাহু আকবার বলুন এবং সিজদা করুন ।
আপনার মাথা, হাঁটু এবং হাত মেঝেতে রাখুন। “সুজুদ” (সিজদা) করার সময় নিশ্চিত করুন যে আপনার কপাল এবং নাক যেন মাটি স্পর্শ করে। এই অবস্থানকে “সাজদাহ” বলা হয়। যখন আপনি সম্পূর্ণরূপে অবস্থান করবেন, তখন তিনবার সুবহান্না রব্বিয়াল আ’লা (মহিমান্বিত আমার প্রভু, সর্বোচ্চ) বলুন।